এস এম জীবন: গভীর ষড়যন্ত্রের শিক্ষার ডিআইজি নাজমুল আলম। তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সচেতন মহল। ডিআইজি শেখ নাজমুল আলম ক্রাইম সিআইডি (ওয়েস্ট) বাংলাদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে কিছু সার্থান্বেশী মহল গ্রামের ঘটে যাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে গভীর ষড়যন্ত্রের লিপ্ত হয়েছেন।
ডিআইজি নাাজমুল আলম ক্রাইম সিআইডি (ওয়েস্ট) শুধু নড়াইল জেলার কৃতী সন্তান নয় সমগ্র পুলিশ বাহিনির গর্ব। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের অভূতপূর্ব সাফল্যের পেছনে নেতৃত্বদানকারী সামনের সারির একজন মানুষ। তিনি সততা ও কর্মদক্ষতার গুনে ইতিমধ্যে ডিএমপি’র যুগ্ম কমিশনার ও ডিআইজি ক্রাইম (ওয়েস্ট) প্রধান এর দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি সততা ও নিষ্ঠার কর্মপরিধির সচ্ছতার গুনে রাষ্ট্রপতি পদক সহ বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য পদকে ভূষিত হয়েছেন। গ্রামের সাধারণ জনগণে ও সচেতন নাগরিকরা বলছেন, রাষ্ট্রের একজন গুনি পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা অশুভ সংকেত। দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান তারা।
জানা যায় সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করায় এই পুলিশ কর্মকর্তাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও তার সৎ চরিত্র ও মানবিক গুনাবলির কারনে বিশেষ ভাবে চেনেন।
তাই রাষ্ট্রের সন্মান রক্ষার্থে রাষ্ট্রের একজন গুনি মানুষের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র কারিদের বিরুদ্ধে যথার্থ পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন এলাকার জনসাধারণ ও সচেতন মহল।
উল্লেখ্য: নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের গন্ডবগ্রাম এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু্ই পক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছে। বুধবার দুপুরে পৃথক দুই দফা সংঘর্ষে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মিরাজ মোল্যা পক্ষের মোক্তার মোল্যা (৫০), হাবিল মোল্যা (৪৫) ও রফিক মোল্যা (৪০)।
আহতরা ও এলাকাবাসী জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নড়াইল জেলা পরিষদের সদস্য গন্ডবগ্রামের সুলতানুজ্জামান বিপ্লব গ্রুপের সাথে একই গ্রামের মিরাজ মোল্যা গ্রুপের মধ্যে দির্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। বুধবার দুপুরে প্রথম দফা হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হন। দুপুর দুইটার দিকে দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রাদি নিয়ে আধাঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে বিপ্লব গ্রুপের সমর্থকদের হামলায় মিরাজ মোল্যার পক্ষের মোক্তার মোল্যা, হাবিল মোল্যা, রফিক মোল্যা, মিজান মোল্যা, জুয়েল, ইনতাজ, সাইফুল, খবির মোল্যা, ইকরাম মোল্যা, নজরুল মোল্যা, ও সাগর মোল্যা গুরুতর আহত হন। এসময় বিপ্লব গ্রুপেরও কয়েকজন আহত হন।
আহতদের নড়াইল সদর হাসপাতালে আনা হলে মিরাজ মোল্যা গ্রুপের মোক্তার মোল্যা (৫০) ও হাবিল মোল্যাকে (৪৫) মৃত ঘোষণা করা হয়।
এছাড়া আশংকাজনক অবস্থায় রফিক মোল্যাকে (৪০) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাপসাতালে নেওয়ার পথে ফুলতলা এলাকায় পৌঁছালে তার মৃত্যু হয়। আহত অন্যান্যরা নড়াইল সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ-সময় নিহত রফিকের ভাই শরিফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, পুলিশের উপস্থিতেই সুলতানুজ্জামান বিপ্লবের লোকজন এ হামলা চালিয়েছে।