গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিধি-বিধান মেনেই অবশ্যই আমরা লকডাউনের প্রস্তুতি নেব। জোন ভাগ করে লকডাউনও বাস্তবায়ন করতে চাই কঠোরভাবে। ‘আমাদের নগরের ৫৭টি ওয়ার্ডকে লাল- হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হয়েছে। কিন্তু সিভিল সার্জন অফিস থেকে এখনও আমাদের ওয়ার্ডভিত্তিক তথ্য জানানো হয়নি, কোন ওয়ার্ডে কত সংখ্যক লোকজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শিগগিরই হয়তো এ তথ্য আমাদেরকে দেয়া হবে এবং ওয়ার্ড ভিত্তিক তথ্য দিলে পরে আমরা সেগুলো দেখে সিদ্ধান্ত নিবো বলেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আগামী শনিবার থেকে সমগ্র গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে। একযোগে সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ড লকডাউন করা হবে। লকডাউনে নাগরিকদের যাবতীয় সেবা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত রয়েছেন মেয়র অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর আলম। করোনাভাইরাসের ভয়াল সংক্রমণ ঠেকাতে সমগ্র গাজীপুরকে কঠোর লকডাউনের আওতায় আনতে বারবার বলে আসছিলেন মেয়র জাহাঙ্গীর। অবশেষে সরকার তার দাবি যৌক্তিক মেনে নিয়ে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়।
দেশের সবচেয়ে বড় এই সিটি করপোরেশনে অধিক ঘনত্বের কারণে লকডাউন কার্যকরে হিমশিম অবস্থা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এরই মধ্যে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছেন মেয়র। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনগণের শতভাগ সুবিধা নিশ্চিত করতে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন তিনি।
এর আগে লকডাউন বাস্তবায়নের দায়িত্ব জেলা প্রশাসকের হাতে থাকলেও এবার সিটি করপোরেশনের কাছে যাচ্ছে এই ক্ষমতা। লকডাউন সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে তৈরি পোশাক কারখানায় মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মেয়র।
এদিকে, লকডাউনে সব শ্রেণি-পেশার মানুষদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে ঘরে থাকা নিশ্চিত করতে দরিদ্র মানুষদের তালিকা তৈরি এবং জরুরি সেবার জন্য অনেকগুলো টিম প্রস্তুত রেখেছেন জাহাঙ্গীর আলম। করোনা সংকট শুরু হওয়ার পর থেকেই গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় লকডাউন কার্যকর করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছিলেন তিনি।
জানা গেছে, লকডাউন বাস্তবায়ন করতে এরই মধ্যে ৫৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের নিয়ে সভা করেছেন মেয়র। এ ছাড়াও সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা এবং স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সমন্বয়ে ওয়ার্ড পর্যায়ে একটি কমিটি গঠন করে লকডাউন কার্যকর করা হবে। তবে ওয়ার্ড পর্যায়ে লকডাউন বাস্তবায়নের কাজটি সমন্বয় করবেন স্থানীয় কাউন্সিলর। এরই মধ্যে হতদরিদ্র, শ্রমিক এবং পোশাক কারখানায় কর্মরতদের তালিকা শেষ করেছেন জাহাঙ্গীর আলম।