Thursday, December 7, 2023
Home > আঞ্চলিক সংবাদ > কসবায় বিল উঠানো কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ

কসবায় বিল উঠানো কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ

এপিপি বাংলা :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বিল উঠিয়ে নেয়া ৫০ লাখ টাকার কাজ চলতি মাসেই শেষ করতে ঠিকাদারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শনিবার সংশ্লিষ্ট ১৩ ঠিকাদারকে ডেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাসুদ উল আলম এ নির্দেশ দেন। নির্দেশ পাওয়ার পর থেকে ঠিকাদাররা সংশ্লিষ্ট এলাকায় কাজের জন্য মালামাল নিতে শুরু করেছেন।
এদিকে বিল উঠিয়ে নেয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার বিষয়ে প্রতিবাদ পাঠিয়েছেন ওই ১৩ জন ঠিকাদার। ইউএনও’র সঙ্গে সভা করার পর ঠিকাদাররা এ প্রতিবাদলিপি স্থানীয় সংবাদপত্রে পাঠান। ঠিকাদারদের স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবাদ পত্রে ৪০ শতাংশ শেষের কথা উল্লেখ আছে কাজ চলমান আছে বলে জানানো হয়। তবে বিলের বিষয়ে স্পষ্ট কোনো ব্যাখা দেন নি ঠিকাদাররা। বিলের বিপরীতে উল্টো সম পরিমাণ টাকার পে-অর্ডার নিজেরা জমা দিয়েছেন বলে জানান।
এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর জেলা সদরের সাংবাদিকদেরকে নানাভাবে ম্যানেজের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে ন্যাপের এক সাবেক নেতা ও একটি স্কুলের পরিচালক অনেককে ফোন করে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। সংবাদ করলে বিপদে পড়ার শঙ্কা আছে বলে তিনি হুমকিও দিচ্ছেন। কসবায় একের পর এক ডিজিটাল আইনে মামলা হওয়ার কথা তিনি সাংবাদিকদের মনে করিয়ে দিয়ে ফোন করে ভয় দেখাচ্ছেন। উপজেলা

প্রকৌশলী রবিউল আলম ঠিকাদারদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, সারা বাংলাদেশের যেভাবে কাজ হয়েছে সেভাবে কসবাতেও হয়েছে। তবে ঠিকাদারদেরকে অবশ্যই কাজ করতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মর্তা মো. মাসুদ উল আলম জানান, চলতি মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। ঠিকাদাররা যেন সঠিকভাবে কাজ করেন সে কারণে তাদেরকে প্রত্যেকের কাছ থেকে বিলের সমপরিমাণ টাকার পে অর্ডার নিয়ে রাখা হয়েছে।
এখানে উল্লেখ্য, এডিপি’র প্রায় ৫০ লাখ টাকার কাজ না করেই বিল দিয়ে দেয়া হয় ঠিকাদারদেরকে। কারণ হিসেবে বলা হয় ৯ জুন বরাদ্দ আসা ওই অর্থ ২৫ জুনের মধ্যে উঠাতে না পারলে ফেরত যেতো। এ অবস্থায় কাজ নিশ্চিত করতে ঠিকাদারদের কাছ থেকে পে-অর্ডার নেয়া হয়। ইউএনও বিষয়টি স্বীকার করে কাজ না করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানান।

এই বিষয়ে দৈনিক সংবাদ, দৈনিক দেশ রুপান্তর, দি এশিয়ান এইজ, দৈনিক গণজারণসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে এবং জাতীয়-স্থানীয় বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে ওঠে। বিল উঠিয়ে নেয় ঐসব কাজ দ্রুত শেষ করার দির্দেশ দেয়া হয় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *