বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগর আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী এক বিবৃতিতে কোরবানির ঈদের পূর্বেই কওমী মাদরাসা সমূহ খুলে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কোরআন পড়ে, হাদিস পড়ে, তাহাজ্জত পড়ে দোয়া করা হলে দেশে আল্লাহর রহমত অবতীর্ণ হবে। কোরআন-হাদিসের বরকতে দেশ থেকে করোনাসহ সকল প্রকার মহামারী বিদায় নিবে ইনশাআল্লাহ । মুসলমানরা যেকোনো বিপদ থেকে মুক্তির জন্য কোরআন খতম ও দোয়া করে থাকেন। অতএব কোরআন হাদিসের শিক্ষা বন্ধ রেখে বিপদ থেকে মুক্তির আশা করা যায় না।
বিবৃতিতে মাওলানা হামিদী বলেন, করোনা মহামারীর কারণে দেশের প্রায় ২২ হাজার কওমী মাদরাসার পঁচিশ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী গত শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক পরীক্ষা দিতে পারেনি। ঈদুল ফিতরের পর কওমী মাদরাসাসমূহের নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু করা যায়নি । দীর্ঘদিন কওমী মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা মুখস্থ করা পবিত্র কোরআন ভুলতে শুরু করেছে। তাদের আবার নতুন করে মুখস্ত শুরু করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সামনে পবিত্র ঈদুল আযহা ও কোরবানি। ঢাকাসহ সারাদেশে কুরবানির পশু জবাই-এর কাজ কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাই বেশি করে থাকেন। এ সময় মাদ্রাসাগুলো বন্ধ থাকলে কোরবানিদাতারা যেমন চরম জটিলতার সম্মুখীন হবেন। মাদ্রাসাগুলোও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ জন্য কুরবানীর পূর্বে কওমী মাদ্রাসাসমূহ খুলে দেয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী ঝড়ে পরার আশঙ্কা রয়েছে।
মাওলানা হামিদী আরো বলেন, সরকার যখন জনগণের কল্যাণে গার্মেন্টস-ইন্ডাস্ট্রি মার্কেটসহ সবকিছুই শর্তসাপেক্ষে খুলে দিয়েছেন। রেল-বাস, লঞ্চের মতো গণপরিবহন চালু করেছেন। সেহেতু দেশের সবচেয়ে বেশি পরিষ্কার-পরিছন্নতা ও পবিত্রতার সাথে চলতে অভ্যস্ত কওমী শিক্ষার্থীদের আরো একটি শিক্ষাবর্ষ কুরআন- হাদীসের শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত থাকুক এটা কাম্য হতে পারে না। তিনি যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কুরআন-হাদীস চর্চার কেন্দ্রস্থল কওমী মাদরাসাসমূহ অবিলম্বে খুলে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যথায় কওমি মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ মাদ্রাসাগুলো খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিতে বাধ্য হবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি