মোঃ শামসুদ্দিন জুয়েল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের এএসআই আমির হোসেন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মামুন মিয়া র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে। আজ সোমবার ভোররাত সারে ৩টার দিকে এ বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও র্যাব জানায়, পুলিশ হত্যা
অস্ত্র-মাদক ও ডাকাতি প্রস্তুতি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভূক্ত আসামী মামুন মিয়াকে ধরতে গত দুইদিন ধরে র্যাব পুলিশ যৌথ ভাবে অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই মধ্যে র্যাবের কাছে খবর আসে
মামুন তার সহযোগীদের নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার চান্দপুর বাজারের একটি পরিত্যাক্ত দোকান ঘরে বসে আড্ডা দিচ্ছেনন। এমন খবর পেয়ে র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের একটি দল সেখানে অভিযানে যায়। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টেরপেয়ে মামুন ও তার সহযোগীরা র্যাবকে লক্ষ্যকরে গুলিকরে। র্যাবও পাল্টা গুলিকরে। পরে বন্দুক যুদ্ধের এক পর্যায়ে র্যাব ঘটনা স্থলথেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি ও একটি চুইস গিয়ার ছোড়া সহ আসামী মামুনকে আহত অবস্থায় আটক করেন। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। বর্তমানে নিহত ডাকাত সদস্য মামুনের লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ ও র্যাব-১৪এর ভৈরব ক্যাম্পের উপ-পরিচালক স্কোয়াড কমান্ডার চন্দন দেবনাথ বন্দুক যুদ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কর্মকর্তারা জানান এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য: গত ১৭ জুলাই শুক্রবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার এএসআই আমির হোসেন তার সহকর্মী এএসআই মণি শঙ্কর চাকমাকে নিয়ে অস্ত্র-ডাকাতি ও মাদক মামলার আসামি মামুনকে গ্রেফতারে অভিযানে গিয়ে ছিলেন দুই পুলিশ সদস্য। পরে চান্দপুর বাজার এলাকায় মামুনকে ধরতে গেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডাকাত মামুন পুলিশের এএসআই আমির হোসেন ও মণি শঙ্করের উপর আক্রমণ করেন। এই ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় আমিরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পুলিশের অপর এএসআই মনি শংঙ্কর আহত অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার পর ওই দিন (শুক্রবার) রাতে আহত পুলিশের এএসআই মনি শংঙ্কর চাকমা বাদী হয়ে মামুনকে প্রধান আসামি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ঘটনার দিন রাতে পুলিশ ঘাতক মামুনের ভাই ইসমাইল হোসেন-(২০) ও চাচা আবুল হোসেন-(৩০) নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে।