Tuesday, December 5, 2023
Home > আঞ্চলিক সংবাদ > দুইদেশের প্রথম ট্রানজিট চালানের ৪টি ট্রাক আখাউড়া স্থল বন্দরে,কাল সকালে যাবে ত্রিপুরায়

দুইদেশের প্রথম ট্রানজিট চালানের ৪টি ট্রাক আখাউড়া স্থল বন্দরে,কাল সকালে যাবে ত্রিপুরায়

এপিপি বাংলা : বাংলাদেশ-ভারত দুইদেশের প্রথম ট্রানজিট চালানের ৪টি ট্রাক বিকেল ৪টায় আখাউড়া স্থল বন্দরে এসে পৌছে। বৃহস্পতিবার (২৩-জুলাই) সকাল ৭টায় দুই দেশের শূন্য রেখায় ত্রিপুরার মূখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব উপস্থিত থেকে ট্রানজিটের প্রথম চালানটি গ্রহন করবেন।

ভারত-বাংলাদেশের চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের প্রথম পরিক্ষামূলক ট্রানজিট চালান এসে পৌছেছে দেশের বৃহৎ ও ২য় স্থল বন্দর ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আখাউড়া স্থল বন্দরে। আজ বুধবার(২২-জুলাই) বিকেল ৪টায় আখাউড়া স্থল বন্দরে এসে পৌছে দুইদেশের প্রথম ট্রানজিট চালানের ৪টি ট্রাক।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩-জুলাই) সকাল ৭টায় দুই দেশের শূন্য রেখায় ত্রিপুরার মূখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব উপস্থিত থেকে ট্রানজিটের প্রথম চালানটি গ্রহন করবেন বলে জানা গেছে মূলত মূখ্যমন্ত্রীর জন্যই একদিন পেছানো হয়েছে ট্রানজিট চালানটি।

নির্ধারিত সময়ের একদিন পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আগরতলায় যাবে রড ও ডাল। দুই দেশের চুক্তি অনুযায়ী ট্রানজিটের প্রথম চালানের এসব পণ্য বুধবার (২২ জুলাই) যাওয়ার কথা থাকলেও ‘আনুষ্ঠানিকতার’ কথা জানিয়ে একদিন পেছানো হয়েছে।

বাংলাদেশের ম্যাংগু লাইন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতের ডার্সেল লজিস্টিক লিমিটেডের পাঠানো পণ্যগুলো পরিবহন করছে কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।

পরীক্ষামূলক প্রথম চালান হিসেবে ৫৩.২৫ মেট্রিক টন রড আর ৪৯.৮৩ মেট্রিক টন ডাল নিয়ে গত ১৪ জুলাই কোলকাতার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় ‘সেজুতি’ নামের একটি জাহাজ। জাহাজটি নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বিলম্বে মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করে। এরপর আনুষ্ঠানিকতা শেষে জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের কাজ করে কে. জে. শিপিং। পরে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বুধবার ভোররাতে রড ও ডালবোঝাই চারটি ট্রেইলর রোয়ানা দিয়ে আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছে আজ বিকাল সাড়ে ৪টায়।

ভারতীয় পণ্য পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠান আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মোঃ আক্তার হোসেন জানান, আজ বুধবার ভারতের এসব পণ্য গুলি প্রেরণের সকল প্রস্তুতি আমাদের সম্পন্ন ছিলো। কিন্তু ভারতীয় ও কাষ্টমস্ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন আজ বুধবার তারা পণ্য গ্রহণ করবেনা। আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় ত্রিপুরার মূখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার এর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে এসব পণ্য তারা গ্রহণ করবে।

জানা গেছে, বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভারতের পরীক্ষামূলক এই ট্রানজিট চালানের জন্য ফি নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এর মধ্যে ডকুমেন্ট প্রসেসিং ফি প্রতি চালান ৩০ টাকা, ট্রান্সশিপমেন্ট ফি প্রতি মেট্রিক টন ২০ টাকা, সিকিউরিটি চার্জ প্রতি মেট্রিক টন ১০০ টাকা, অ্যাসকর্ট চার্জ প্রতি মেট্রিক টন ৫০ টাকা, বিবিধ প্রশাসনিক চার্জ প্রতি মেট্রিক টন ১০০ টাকা, কন্টেইনার স্ক্যানিং ফি প্রতি কন্টেইনার ২৫৪ টাকা। এছাড়া ইলেকট্রিক লক অ্যান্ড সিল ফি হিসেবে বিধিমালা দ্বারা নির্ধারিত পরিমাণ দিতে হবে।

আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের উপ-কমিশনার কাজী ইরাজ ইশতিয়াক বলেন, ভারতীয় পণ্য পরিবহনের সকল প্রস্তুতি আমাদের সম্পন্ন ছিলো। পণ্য পরিবহনের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে মাশুল নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। তবে মাশুল আদায়ের সব কিছু চট্টগ্রাম বন্দরেই সম্পন্ন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *