মাইনুদ্দীন রুবেল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার হলিয়াজুড়ি বিলের বুকে মাছ চাষের জন্য আড়াআড়ি ভাবে দেওয়া সেই বাঁশের বেড়া ও জালের বাঁধ অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর ২টা ৩০মিনিট পর্যন্তু জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনের নির্দেশে এই উচ্ছেদ অভিযান চালয়ে প্রবাহ স্বাভাবিক করেছে বিজয়নগর উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (০৪আগষ্ট) জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বিলের বুকে আড়াআড়ি ভাবে দেওয়া বাঁশের বেড়া ও জালের বাঁধ উচ্ছেদ করে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক করতে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কে.এম ইয়াসির আরাফাতকে নির্দেশ দেন।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পত্তন ও বিষ্ণুপুর দুটি ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে হলিয়াজুড়ি (খালদ) বিল। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কে.এম. ইয়াসির আরাফাত উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুর রহমানকে পুলিশ ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু সালেহকে সঙ্গে দিয়ে হলিয়াজুড়ি বিলে পাঠান। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে বিলে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। স্থানীয় শ্রমিকদের সহযোগিতায় হলিয়াজুড়ি বিলের দুই গ্রামের মধ্যবর্তী সেতুর নিচসহ চারদিকের দেড় কি:ল মিটার বাঁশের বেড়া ও জালের বাধ উচ্ছেদ করা হয়। দুপুর ২টা ৩০মিনিট পর্যন্ত চলে এই উচ্ছেদ অভিযান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হলিয়াজুড়ি (খালদ) বিলটি মাছ চাষের জন্য প্রশাসনিকভাবে উন্মুক্ত জলাশয় হিসেবে ঘোষণা করা হয়। দুই ইউনিয়নের মধ্যে থাকা একটি সেতুর নিচসহ চারদিক দিয়ে বিলের বুকে আড়াআড়ি বাঁশের বেড়া ও লোহার জালের বাঁধ দেওয়া হয়। সেই বাঁশের বেড়ার ওপরের অংশে অবৈধ কারেন্ট জালও দেওয়া হয়েছে। এতে জাল ও বেড়ার কারণে পানির প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছিল। এপাশের মাছ অন্য পাশে যাতায়াত করতে না পারায় ছোট বড় নানা প্রজাতির ডিমওয়ালা দেশিও মাছ হুমকির মুখে পড়ছে। বাঁধের কারণে সেতুর নিচ দিয়ে ছোট-বড় নৌকা চলাচল করতে পারছিল না। পত্তন ইউনিয়নের নোয়াগাঁও মোড়ের বাসিন্দা স্থানীয় ইকবাল হোসাইন নামে স্থানীয় এক প্রভাবশারী মাছ চাষের জন্য এভাবে বাঁধ দেন।
স্থানীয় বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের হাফেজ আশরাফুল ইসলাম ভূইয়া সুমন বলেন, আপনি (সাংবাদিক) এর নিউজ হওয়ার পর দেড় মাস ধরে উপজেলা ভবনে চারটি মিটিং হয়েছে সমাধানের লক্ষে কিন্তু কোন ধরনের সমাধান না হওয়ায় আজ প্রশাসনের উদ্দ্যেগে সেই বাঁধটি উচ্ছেদে নেমেছে প্রশাসন। তিনি জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসন, সাংবাদিক সহ সকলকেই ধন্যবাদ জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে.এম. ইয়াসির আরাফাত বলেন, বিলে পানির প্রবাহ স্বাভাবিক করতে জেলা প্রশাসক স্যার সেতুর নিচে বিলের বুকে বাঁশের বেড়া ও জালের বাঁধ উচ্ছেদের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অলিয়াজুড়ি বিলের বুকে অভিযান চালিয়ে আড়াআড়ি দেওয়া বাঁশের বেড়া ও জালের বাঁধ উচ্ছেদে করা হয়েছে। বর্তমানে বিলের পানির প্রবাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে। এখন এপাশ থেকে ওপাশের মাছের যাতায়াতে এবং নৌকার চলাচলে কোনো বাঁধা থাকবে না।
#