Wednesday, October 4, 2023
Home > আঞ্চলিক সংবাদ > কারাবন্দি মোস্তফার পরিবারের খোঁজখবর নিতে কক্সবাজার যাচ্ছেন সাংবাদিক নেতারা

কারাবন্দি মোস্তফার পরিবারের খোঁজখবর নিতে কক্সবাজার যাচ্ছেন সাংবাদিক নেতারা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপের সীমাহীন বর্বরতায় স্থানীয় সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার ১১ মাস ধরে কারাগারে । তাঁর পরিবারের খোঁজ খবর নিতে ৫ সদস্যের সাংবাদিকদের একটি টিম কক্সবাজার যাচ্ছেন। সোমবার (১০ আগস্ট) নেতৃবৃন্দ ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) সকালে তাঁরা ফরিদুল মোস্তফার পরিবারের সাথে স্বাক্ষাৎ শেষে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ও জেলা প্রশাসক সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে জানাযায়। এ ছাড়াও নেতৃবৃন্দ স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করবেন।

এতে নেতৃত্ব দিবেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী আহমেদ আবু জাফর। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র রিপোর্টার ও ক্রাইম ইনভেষ্টিগেশন সেল প্রধান সাঈদুর রহমান রিমন, বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ (বনেক) সভাপতি মোঃ খায়রুল আলম রফিক, অনলাইন এডিটরস কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকর নির্বাহী সম্পাদক এস এম জীবন ও ডেইলি ইন্ডাষ্ট্রি পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার নান্টু লাল দাস । টিমের সহযোগি সদস্য হিসেবে বিভিন্ন জেলার আরো ২৫ জন সাংবাদিক সেখানে যোগ দেবেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে রবিবার (৯ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টেকনাফের তৎকালীন ওসি প্রদীপ দাসের নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার শিকার ফরিদুল মোস্তফা প্রাণভয়ে ১১ মাস ধরে কক্সবাজার কারাগারে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এই ওসি ও তার সহযোগীদের নানা অপকর্ম , গেপ্তার বানিজ্য, মাদক কারবারিদের সাথে সু-সম্পর্ক থাকার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় ওসি প্রদীপ কুমার এবং তাঁর সহযোগীদের সীমাহীন আক্রোশে ফরিদুল মোস্তফাকে ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে ধরে টেকনাফ থানায় নিয়ে তাঁর ওপর অমানষিক বর্বরতা চালায়। সে সময় তাঁর চোখে মরিচের গুঁড়া দিয়ে নির্যাতন করায় বর্তমানে দুটি চোখই নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

এছাড়া তাঁর হাত-পা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়। এতেও ক্ষ্যান্ত হননি ওই বর্বর ওসি ইয়াবা ব্যবসায়ি সাজিয়ে সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ওই মামলায় জামিনের ক্ষেত্রেও সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার নানা প্রভাব ও কুটকৌশল খাটিঁঁয়ে বাধাঁর সৃষ্টি করে ছিলেন । নজিরবিহীন নির্মমতার শিকার সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার ঘটনা জানতে বিএমএসএফ এর উদ্যোগে সাংবাদিক, আইনজীবি, মানবাধিকারকর্মীর সমন্বয়ে একটি টিম কক্সবাজারে যাচ্ছেন। তারা ঘটনার আদ্যপ্রান্তর পাশাপাশি আইনি সহায়তা প্রদানের যাবতীয় পদক্ষেপ নিবেন। জেলগেটে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেয়াসহ উন্নত চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করার পদক্ষেপও নিবেন তারা।

উল্লেখ্য, চরম অসুস্থ অবস্থায় সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা দীর্ঘ ১১ মাস যাবত কারাগারে মানবেতর জীবন এবং তাঁর পরিবারও অনাহারে জীবনযাপন করছেন।

Like & Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *