Thursday, December 7, 2023
Home > জাতীয় সংবাদ > বাতিল হচ্ছে পিইসি-জেএসসি পরীক্ষা

বাতিল হচ্ছে পিইসি-জেএসসি পরীক্ষা

এপিপি বাংলা : চলতি বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা হচ্ছে না। একই সঙ্গে বাতিল করা হচ্ছে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (ইইসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা।

আজ মঙ্গলবার একটি জাতীয় দৈনিকের প্রিন্ট সংস্করণে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

করোনা পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হওয়ায় এই দুই পরীক্ষা বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ নিয়ে গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের উপস্থিতিতে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবের একটি বৈঠক এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর ভিত্তিতে উভয় মন্ত্রণালয়ে পৃথক দু’টি সারসংক্ষেপ তৈরি হচ্ছে। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে এটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হতে পারে। দুই মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এক সূত্রে জানা যায়, সমাপনী পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হলেও এই দুই স্তরের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে। এই ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একটি অংশকে মেধাবৃত্তি দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। শিক্ষাবর্ষ দীর্ঘ না করে বছরের মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রেণিভিত্তিক লেখাপড়া শেষ করার চিন্তাভাবনা চলছে। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া সম্ভব হয় তাহলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে।

যদি ডিসেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হয়, তাহলে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে ‘অটো-পাস’ দিয়ে তুলে দেয়া হবে। এই উভয় ক্ষেত্রেই পাঠ্যবই বা সিলেবাসের যে অংশটুকু পড়ানো সম্ভব হবে না তার অত্যাবশ্যকীয় পাঠ পরের শ্রেণিতে দেয়া হবে। এজন্য জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ‘কারিকুলাম ম্যাপিং’ করে দেবে। এ লক্ষ্যেই বুধবার এনসিটিবিতে কারিকুলাম বিশেষজ্ঞদের বৈঠক শুরু হচ্ছে। এছাড়া কয়েকদিন ধরে এ নিয়ে ময়মনসিংহে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমিতে (নেপ) বিশেষজ্ঞদের বৈঠক চলছে।

একাধিক বিকল্পের কথা জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষার সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের আমরা ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চাই না। তাই সব স্বাভাবিক হলেই তারা স্কুলে যাবে। যেহেতু কবে প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে তা আমরা জানি না। তাই একাধিক বিকল্প হাতে রেখে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা তৈরির কাজ চলছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, শিক্ষায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সামনে কোন মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে সে সংক্রান্ত একটা খসড়া প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। মতামতকে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। এ নিয়ে এনসিটিবি কাজ করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *