এপিপি বাংলা : আগামীকাল শনিবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন। বহুকাঙ্ক্ষিত এই নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন তাদের সব প্রস্তুতি নিয়েছে। নির্বাচন হবে হোটেল সোনারগাঁওয়ে। দুইদিন সেখানে সবধরনের প্রস্তুতি দেখে নির্বাচন কমিশন সন্তুষ্ট। কমিশনের আশা, সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন হবে।
শুক্রবার বিকেলে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন শেষবারের মতো নির্বাচনের ভেন্যু পরিদর্শন করেছেন। সেটি করেই সংবাদকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেজবাহ উদ্দিন বলেছেন, ‘আমরা গতকাল ও আজ বাফুফে ভবন ও সোনারগাঁও হোটেলের ভেন্যু পর্যবেক্ষণ করেছি। যেখানে যা নির্দেশনা দেওয়ার দরকার দিয়েছি। প্রস্তুতি সম্পন্ন বলতে পারেন। দুপুর ২টা থেকে ভোট গ্রহণ হবে। সকল ডেলিগেট ভোট দিতে আসবেন সুস্থ শরীরে। ভোট গণনা শরু হবে ভোট দেওয়ার পর।’ ভোট গ্রহণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষায় থাকতে বলেছেন তিনি,‘শুরু থেকে গণনা পর্যন্ত সকলে ধৈর্য্যসহকারে থাকবেন। ভোট দেবেন, ফল জানবেন। নানাজন নানা কথা বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সব জায়গায়। আমাদের জীবনের অংশ্ এটা। বাস্তব সত্য যেটা সেটা তুলে ধরতে হবে। এছাড়া ভোটের দিন নিরাপত্তা যেটা দরকার সেটা করা হয়েছে। পুলিশ বাহিনীর ওপর দায়িত্ব থাকবে। যেটা প্রয়োজন তারা করবেন।’
নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলেও ব্যালটে নাম আছে বাদল রায়ের। এ বিষয় নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠলে আগের মতেই উত্তর দিয়েছেন তিনি, ‘তার স্ত্রী এসে প্রত্যাহার করেছেন। কয়েকদিন পর সংবাদ সম্মেলনও করেছেন (বাদল রায়)। তবে আইনগতভাবে এখনও বৈধ প্রার্থী তিনি। যখন যা আসবে বিধি অনুযায়ী হবে।’ নির্বাচনে কয়েকজন প্রার্থীর উত্থাপিত দাবির সমাধানও হয়েছে, বলেছেন মেজবাহ উদ্দিন, ‘স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য কিছু প্রার্থী দাবি রেখেছিলেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি কাল। তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলে সন্তুষ্ট হয়েছেন।’ ভোট কেন্দ্রে কারও হাতে মোবাইল থাকবে না, এটি মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা, ‘ভোটের দিন কেন্দ্রে কারও হাতে মোবাইল ফোন থাকতে পারবে না। শুধু অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া। ভোটগ্রহণ যাতে তাড়াতাড়ি হয় সে জন্য আটটি বুথে তা গ্রহণ করা হবে। কোভিড সংক্রান্ত বিধিও সবাই যাতে মেনে চলেন সেটাও লক্ষ্য রাখতে হবে।’