মোঃ শামসুদ্দিন জুয়েল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর সদর উপজেলায় ঈদগাহ ময়দানে ভূমি দস্যু আব্দুল বাকী অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে মানববন্ধন করেন উপজেলা সদর সর্বস্তরের জনগণ।
রোববার সকাল ১১টায় উপজেলা শহীদ মিনার চত্বরে নাসিরনগর সদরের সর্বস্তরের জনগণের উপস্থিতিতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
নাসিরনগর ঈদগাহ কমিটির সহ-সভাপতি মতালিব মাষ্টারের সভাপতিত্বে ও ঈদগাহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন মসজিদ কমিটির ক্যাশিয়ার ও দাতাসদস্য মজিবুর রহমান, স্থানীয় আব্দুল সামাদ, আজদু মেম্বার, মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, আক্তার মিয়া, কামাল হোসেন, হারিছ মিয়া, হাজী আলি নোয়াজ, সাজাহান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, নাসিরনগর সদর ঈদগাহ মাঠটি উপজেলার প্রাণকেন্দ্র ৪৮নং মৌজার ৪৪ নং খতিয়ানের ৬২৩৭ নং দাগের অন্তভূক্ত ১নং খাস খতিয়ান খতিয়ান সাবেক ২৫৫২ দাগে ৪.৫০ সর্বমোট ৩৭.৫০ শতাংশ। ভূমিটি দুই যুগ পূর্বে হাজী রমজান আলী জায়গাটি ঈদগাহের নামে ওয়াকফ করে দেন সেই থেকে উপজেলা সহ আশ পাশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ সালাত আদায় করে আসছে। সম্প্রতিকালে স্থানীয় প্রভাবশালী আব্দুল বাকী নামে ব্যক্তি এলাকারবাসীর বাধা সত্বেও প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে ” মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট” নাম দিয়ে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন যা সত্যিই হৃদয়স্পর্শী ও মর্মপিড়াদায়ক বলে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন। বক্তারা দাবী করে বলেন, ভূমি দস্যু আব্দুল বাকীর কাছ থেকে ঐতিহ্যবাহী নাসিরনগর সদর ঈদগাহ ময়দানের বেদলকৃত জায়গাটি পূনরুদ্ধার সহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবী জানান। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও নাজমা আশরাফির মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রধান করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমা আশরাফি বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। তারা আমার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে স্মারকলিপি দিয়েছে। বিষয়টি আমি স্যারকে জানাবো। যেহেতু ওই জায়গা নিয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান তার পরও কি ভাবে ওই জায়গায় নির্মাণ কাজ চলমান সেটা নিয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে আলোচনা করবো। তিনি আমায় যে নিদের্শনা দিবেন আমি সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।