এপিপি বাংলা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের পর সেই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ‘বর্বরতার চরম সীমা’ দেখলাম। ‘জঘন্য’ ওই অপরাধে যারা যুক্ত আছেন, আইন অনুযায়ী তাদের সর্বোচ্চ শাস্তিই হবে। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, “নোয়াখালীতে যেটা ঘটল, বর্বরতার একটা চরম সীমা আমরা দেখলাম। একজন বিবেকবান মানুষ এ ধরনের কাজ করতে পারে বলে আমার কাছে মনে হয় না।
তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি তারা পাবে। আমরা সেই কাজটিই করব, যাতে করে একটা সুন্দর তদন্ত রিপোর্ট আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী দিতে পারেন। সেজন্য আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যেও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ‘যথাযথভাবে’ কাজ করছে। তাই দেশে ‘শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে’।
সিলেট এমসি কলেজের ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় যে মামলা হয়েছে, তার সব আসামিকে ইতোমধ্যে ধরা হয়েছে। আর নোয়াখালীর ঘটনায় দুইজন ছাড়া বাকি সবাইকে ধরা সম্ভব হয়েছে ।
এ ধরনের ঘটনার মধ্যে যারা লিপ্ত হয়েছেন, তারা জঘন্য অপরাধ করেছেন, তার শাস্তি তাদের পেতে হবে। সেজন্য আমরা একটা নির্ভুল তদন্ত রিপোর্ট দেব, যাতে সেখানে তারা শাস্তি পায়।
তিনি বলেন, আমি কিন্তু সব সময় বলেছি, এ ধরনের ঘটনার পরপরই আমরা অপরাধীদের শনাক্ত করছি এবং ধরছি। এখানে কোনো রকমের শৈথল্য কিংবা গাফিলতি নিরাপত্তাবাহিনী দেখায়নি কিংবা করেনি। সব জায়গায় নিরাপত্তাবাহিনী যথাযথভাবে কাজ করছে। তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং যারা অন্যায় করেছে তাদেরকে ধরেছে।
মন্ত্রী বলেন, ধর্ষক-নিপীড়ক এরা ‘সমাজবিরোধী ও অমানুষ’। স্থানীয় প্রশাসন, ইউএনও, ডিসি, এসপি সবাই এক সঙ্গে কাজ করছে এসমস্ত ধর্ষক ও সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী সজাগ ও সতর্ক রয়েছে বলে অপরাধীদের ধরতে ও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারছি।
নোয়াখালীতে নির্যাতনের সেই ঘটনা ঘটেছে এক মাস আগে, স্থানীয় প্রশাসন এতদিন কী করছে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণত যারা ভিকটিম হয়, তারা লুকিয়ে যায়, প্রকাশ করতে চায় না। এই জায়গায় কি সে রকম হয়েছে কিনা আমি জানি না। যখনই আমাদের নজরে এসেছে, তখন থেকেই আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কাজ শুরু করেছেন এবং দ্রুততার সঙ্গে তাদেরকে ধরে ফেলেছে। যেখানেই অভিযোগের সত্যতা পাচ্ছে, নিরাপত্তা বাহিনী কাউকে বাদ দিচ্ছে না, সবাইকে ধরছে।