এপিপি বাংলা : গাজীপুর জেলায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত “শিক্ষিত কর্মপ্রত্যাশি যুবদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি” শীর্ষক প্রকল্প এর উদ্বোধন করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। তিনি আজ সকালে টঙ্গীর সফিউদ্দিন সরকার একাডেমি এন্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উক্ত প্রকল্পের প্রশিক্ষন কোর্সের শুভ উদ্বোধন, সনদপত্র বিতরণ ও জব ফেয়ার এর উদ্বোধন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুব সমাজ যে কোন দেশের মুল্যবান সম্পদ। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি যুব সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের উপর অনেকাংশে্ই নির্ভরশীল। আমাদের যুব সমাজকে দক্ষ মানব সম্পদে রুপান্তরের লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে চলেছে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত “শিক্ষিত কর্মপ্রত্যাশি যুবদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক ভাবে দেশের ৮টি বিভাগের ১৬টি জেলায় (ঢাকা, গোপালগঞ্জ, গাজীপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, কুমিল্লা, লক্ষীপুর, চাঁদপুর,রাজশাহী, নড়াইল, ঠাকুরগাঁও, ভোলা ও শেরপুর জেলা।) তিন মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। প্রশিক্ষণের মোট লক্ষ্যমাত্রা ৬৪০০ জন। পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি জেলায় এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের প্রেক্ষাপট ব্যাখাা করতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশে পদার্পণ করেছে। দেশের জনসাধারনের মাথাপিছু আয় প্রায় ২৭৬৫ ইউএস ডলার। কোভিড-১৯ এর কারণে দেশে বেকারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া বিদেশ হতে কর্মচ্যূত হয়ে দেশে ফেরা প্রবাসীদের কারণে বেকারের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব শিক্ষিত যুবদের ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হলে দেশে বেকারের সংখ্যা ও দারিদ্রতা উভয়ই হ্রাস পাবে। তাই শিক্ষিত যুবদের ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য।
প্রশিক্ষণের বিষয় সমূহ হচ্ছে Microsoft Office, Basic Knowledge on using Computer Hardware and Network Troubleshooting, Communicative English, Digital Marketing, Online Earning Program, Soft Skill, Freelancing with using Smartphone উক্ত প্রশিক্ষণ কোর্সে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। Professional Freelancing Training বিষয়ক এই প্রশিক্ষণে হাতে-কলমে কাজের পাশাপাশি প্রকল্পভিত্তিক কাজ করার সুযোগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থী আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করতে সক্ষম হবে।
উল্লেখ্য, প্রাথমিক অবস্থায় দেশের ১৬টি জেলায় ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এ জন্য প্রতিটি জেলায় প্রতি বছর ৪ ব্যাচে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। প্রতি ব্যাচে ৪০জন যুবক ও যুবনারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণের মেয়াদ ৩মাস বা ৬০০ঘন্টা। প্রশিক্ষণার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি পাশ এবং প্রশিক্ষণার্থীদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছর।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: আজহারুল ইসলাম খান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহবুব আলম, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ ওয়াহিদ হোসেন
ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ আলম।
। এছাড়া ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।